
আবদুর রাজ্জাক,মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের জলদস্যু স¤্রাট নাগু বাহিনী ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা র্দীঘ দু’ঘন্টা ধরে নিরহ গ্রামবাসির উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মহিলাসহ ৭ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ নভেম্বর রবিবার বিকালে উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়ায়। সন্ত্রাসীরা প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে বলে এলাকাবাসিরা জানান। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নিরহ গ্রামাবাসির মধ্যে আতংক শুরু হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ ও এলাকাবাসিরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়ার র্পূবপাড়া ও পশ্চিম পাড়ায় ভুমিদস্যু ও জলদস্যু স¤্রাট নাগু মেম্বার, বতল্ল্যা ও নাগুর ছেলে নকিব বাহিনী ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়াটে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা র্দীঘ দু’ঘন্টা ধরে নিরহ গ্রামবাসির উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ র্স্বণালংকার,নগদ টাকাসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা র্পুবপাড়ার ফরুক আহমদ বহদ্দারের ছেলে সেলিমের বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ৬০’হাজার টাকা ,র্স্বণালংকার ও মূল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় সেলিমের স্ত্রী বানু(২৫) বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ব্যাপক মারধর করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় পশ্চিম পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল গফুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে মুহুর্তের মধ্যে পুরোবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসিরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নিরহ গ্রামবাসির উপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় মহিলাসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতরা হলেন,মোহাম্মদ মিয়া(৬৫),পিতা-মৃত মাদু,খালেদা(১৪)পিতা-ফরুক আহমদ,সোনাখাতুন(২৭) স্বামী আবদুল করিম,জাহাঙ্গির(২৭)পিতা-আবদুল হালিম,্আাজিম(৩৬)পিতা-সিরাজ মিয়া ও ছলিমা খাতুন (৪০) স্বামী মোহাম্মদ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার এস.আই নজরুলের নেতৃর্ত্ব একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও পুলিশ জলদস্যু স¤্রাট নাগু মেম্বারের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে উল্টো নিরহ গ্রামবাসিকে হয়রানি করছে বলে জানান এলাকার লোকজন। এলাবাসিরা আরো জানান,পুলিশের সামনেই জলদস্যু স¤্রাট নাগু মেম্বার নিরহ গ্রামবাসির বাড়িঘরে লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভাংচুর করে।
উল্ল্যেখ্য,গত ১৯ নভেম্বর সোনাদিয়া দ্বীপের ভুমিদস্যু ও জলদস্যু স¤্রাট নাগু বাহিনীর হাতে নারীসহ সাত জন অসহায় গ্রামবাসি আহত হয়।
জানা যায়, র্দীঘ পাচঁ বছর ধরে সোনাদিয়া দ্বীপের অঘোষিত স¤্রাট জলদস্যু নাগু বাহিনী নিরহ গ্রামবাসিকে জিম্মী করে তাদের শত শত একর জমি জোর র্পূবক দখল করে সেখানে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে ভোগ করে আসছে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ আলমগির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। তবে পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে নাগুবাহিনীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত